প্রথম টেস্টে টস হেরে আগে বোলিং পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মেঘলা আবহাওয়ার কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দারুণ করেছিলেন তাদের বোলাররা। এবার একই কন্ডিশন দেখে টস জিতেই বোলিং নিয়েছিলেন জেসন হোল্ডার। কিন্তু তাদের দিনভর হতাশায় পুড়িয়েছে বেন স্টোকস আর ডম সিবলির ব্যাট।
গতপরশু ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ৩ উইকেটে ২০৭ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। ওপেনার সিবলি ৮৬ ও স্টোকস ৫৯ রান করে ছিলেন অপরাজিত। গতকাল সেখান থেকে দু’জনেই পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড পেয়েছে ৩শ’ ছাড়ানো শক্ত ভিত। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত (১১৯ ওভার) ৩ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩০৪। সিবলি অপরাজিত ১১৭ রানে। তাকে ছাড়িয়ে স্টোকস খেলছিলেন ১২৩ রান নিয়ে। সেই সাথে একটি মাইলফলকও স্পর্ষ করেছেন এই অলরাউন্ডার। তার আগে টেস্টে ১০ সেঞ্চুরি আর একশ উইকেট শিকারি ছিলেন কেবল ইয়ান বোথাম, জ্যাক ক্যালিস আর গ্যারি সোবার্স।
তবে আগের দিন টসের পরই শুরু হওয়া ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ঘণ্টা দেড়েক দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। এমন সহায়ক কন্ডিশন দেখে ক্যারিবিয়ান পেসাররা মুখিয়েও ছিলেন। কিন্তু তাদের এবার খুব একটা ধারালো হতে দেননি ইংলিশ ওপেনাররা। প্রথম ১৩ ওভারে চার পেসারের সকলেই চেষ্টা চালিয়ে বিফল হওয়ার পর ডাক পড়ে অফ স্পিনার রোস্টন চেজের। কাজের কাজ করেন তিনিই।
বল হাতে নিয়েই দুই বল দুই উইকেট নিয়ে নেন তিনি। রোরি বার্নসকে এলবিডব্লিউ করে আউট করার পর এই টেস্টে তিনে সুযোগ পাওয়া জ্যাক ক্রাউলিকে কাবু করেন তিনি। চেজের বলে লেগ স্লিপে উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডারের হাতে জমা পড়ে ফেরত যান ক্রাউলি।
সিবলির সঙ্গে মিলে অধিনায়ক জো রুট অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন ভালোভাবেই। ব্যক্তিগত কারণে প্রথম টেস্টে ছুটিতে থাকা রুট নিজের ফেরাটা করতে পারতেন আরও আনন্দমুখর। ৫২ রানের জুটির পর ভুল হয়ে যায় তারও। আলজেরি জোসেফের বলে সিøপে হোল্ডারের হাতে ধরা পড়েন তিনিও। কিছুটা সময় নিয়ে শুরু করা স্টোকস থিতু হয়েই যুগিয়েছেন ভরসার আবহ। ধীরস্থির খেলতে থাকা সিবলির সঙ্গে গড়ে উঠে শক্ত জুটি। গতকাল পর্যন্ত চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেছেন ২২৩ রান। হোল্ডাররা বহু কসরত চালিয়ে ভাঙতে পারেননি এই জোড়া। সাউদাম্পটনে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এবার অপেক্ষায় কঠিন সময়।