ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় চেতনানাশক দ্রব্য মেশানো খাইয়ে একই পরিবারের ১২ জনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ সহ পাই ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার ৫নং মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর গ্রামে সেলিম চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রান্তরা হলেন- কবির আহাম্মদ চৌধুরী প্রকাশ সেলিম (৫৫), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশ স্বপন (৪৯), মিনার (১৬) লাবুবা (১০), লামিয়া(১৪), ছকিনা বেগম (৫০), মায়া বেগম (৩৭), পিংকি (২৫), তন্নী (২৪), শশা বেগম (৭৫) ফারাবি (সাড়ে ৪ বছর)এবং জারিপ (৭)। তাদের ছাগলনাইয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ জনকে
ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে প্রেরণ করা হয়।
তার পাশের ঘরে’র মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রথম সময় কে জানান, পশ্চিম দেবপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন চৌধুরীর সেমিপাকা ঘরে শুক্রবার রাতের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে রাখে অজ্ঞাতপরিচয়ে দুর্বৃত্তরা।
পরিবারের সদস্যরা রাতে ওই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।শনিবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে পান ঘরের সামনের দরজা জানালা বন্ধ থাকলেও পেছনের দরজা খোলা।
ভেতরে গিয়ে দেখেন মাথা ফাটা অবস্থায় তিনজন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। অন্যরাও অচেতন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয়দের ধারণা, ঘরের মধ্যে আগেই লুকিয়ে ছিল দুর্বৃত্তরা। পরিবারের সদস্যরা অচেতন হওয়ার পর তারা লুটপাট চালায়।
শনিবার সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় অচেতন অবস্থায় ১২ জনকে ছাগলনাইয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে পাঁচজনকে ভর্তি রেখে বাকিদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা বিয়ে বাড়িতে প্রেরণ করেন।
ছাগলনাইয়া থানার এসআই মনির হোসেন প্রথম সময়কে জানান, ভাত কিংবা পানিতে নেশাদ্রব্য মেশানো হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
ধারণা করা হচ্ছে ঘর থেকে ফাই নগদ ১০ লক্ষ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণ অলংকার সহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন মহামায়া ইউপি চেয়ারম্যান গরীবশাহ হোসেন বাদশাহ চৌধুরী।