শিরোপা লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চাপ ধরে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না বার্সেলোনার। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস, অঁতোয়ান গ্রিজমান ও আনসু ফাতি। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৪-১ গোলের বিরাট ব্যবধানের জয়ে শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে থাকলো কাতালানরা।
এই জয়ের পরও অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে বার্সা। লিগে বাকি আর ৪ ম্যাচ। গাণিতিক হিসাবে শিরোপা স্বপ্ন এখনও টিকে আছে। তবে খোদ বার্সা খেলোয়াড়রাও নিশ্চয়ই জানেন সেই সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভবের মতোই।
বহুদিন পর আক্রমণাত্মক বার্সার দেখা মিলেছে। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজে, আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে একসঙ্গে মাঠে নেমে সফল হয়েছেন। মেসি করেছেন দুই অ্যাসিস্ট, তাতে পরের দুইজন করেছেন দেখার মতো দুই গোল। আর শেষে বদলি নেমে আনসু ফাতিও যোগ দিয়েছেন স্কোরশিটে।
লা সিরামিকায় শুরুতেই নিজেদের ওপর চাপ কমিয়ে ফেলেছিল বার্সা। ম্যাচের ৩ মিনিটে জর্দি আলবার ক্রস থেকে পাউ তোরেস আত্মঘাতী গোল করে বসেন। তবে এরপরও পুরোপুরি স্বস্তি মেলেনি বার্সার। এই মৌসুমে যেন নিয়মিত ঘটনাই হয়ে গেছে সেটি। জেরার্ডো মরেনো ১৪ মিনিটেই গোল শোধ দিয়ে ভিয়ারিয়ালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
২০ মিনিটেই আবার দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বার্সা। মিডফিল্ডে বল জিতে মেসি ঝলক দেখিয়েছেন। ভিয়ারিয়ালের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বক্সের সামনে গিয়ে বাম পাশে থাকা সুয়ারেজকে পাস দিয়েছেন। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ডান পায়ের বাঁকানো শটে বল জড়িয়েছেন টপ কর্নারে।
মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানকে সচেষ্ট থাকতে হয়েছে এরপরও। এক গোলের লিড হারাতে পারত বার্সা। দারুণ কিছু সেভ করে জার্মান গোলরক্ষক বার্সাকে পথ হারাতে দেননি। বিরতির আগে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন গ্রিজম্যান।
ভিয়ারিয়ালের বক্সের ঠিক বাইরে মেসির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার পর ব্যাকহিল থেকে বল পান গ্রিজম্যান। সুয়ারেজে যেখান থেকে গোল করেছেন সেখানেই বল পেয়েছিলেন তিনি। তিনিও একই কোণায় বল জড়িয়েছেন, তবে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক চিপে।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময়ই দেখা গেছে বার্সার দাপট। ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনখো একের পর এক সেভ করে স্কোরলাইনটা বাড়তে দেননি। এর মধ্যে মেসি নিজেও গোল করেছিলেন ৬৯ মিনিটে। কিন্তু অফসাইডের কারণে পরে ভিএআরে বাতিল হয়েছে সেই গোল। যোগ করা সময়ে ফ্রি-কিক থেকে মেসির শট লেগেছে বারপোস্টে। তাই ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে আর গোল পাওয়া হয়নি মেসির।
রিকি পুজ মাঠে নেমেছিলেন ৬০ মিনিটে, আরেক তরুণ ফাতি ৭২ মিনিটে। দুইজনই দিশেহারা বার্সাকে আলোর রেখা দেখিয়েছেন আরেকবার। ফাতি অবশ্য এক ধাপ বেশি গেছেন। ১৭ বছর বয়সী ৮৬ মিনিটে করেছেন সলো গোল। আলবার কাছ থেকে বাম প্রান্তে বল পেয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন বক্সের ভেতর, নিজেই শট নিয়েছেন। সেই বল গড়িয়ে গড়িয়ে গিয়ে জড়িয়েছে ভিয়ারিয়ালের জালে।